বহু শিশুতোষ চলচ্চিত্র কিন্তু বানানো হয়েছে পৃথিবী জুড়ে। তার মধ্যে এমন কিছু আছে যা সহজেই মনে দাগ কেটে যায়। তোমাদের জন্য আজকে তেমনই পাঁচটি ছবির ফর্দ নিয়ে আসলাম। এই পাঁচটি মুভি দেখে নাও এখনই।
ফাইন্ডিং নিমো : এটি একটি এনিমেশন মুভি। কিভাবে নিজের কাছের মানুষদের নিয়ে চলতে হয় তার একটা নমুনা তোমরা পেয়ে যাবা। এনিমেশন হলেও বিরক্তি আসবে না একটুও। আর ক্যারেক্টার কিন্তু মানুষের না ; মাছের! এখানেই তো মজাটা।
বেবী’স ডে আউট : এটা নিছকই একটা টপ টু বটম কমেডি ফিল্ম। তোমরা অনেকে হয়তো দেখেও ফেলেছো। যদি না দেখে থাকো তাহলে দেখে ফেলো। তোমাদের কারো বাবা যদি কাটখোট্টা টাইপের হয়, দেখার সময় উনাকেও সাথে নিতে পারো।
তারে জমিন পার : অটিজমের উপর শিশুটির কোন হাত আছে? নেই! কিন্তু তাকে স্বাভাবিক করার পেছনে আমাদের সবারই অবদান কিন্তু দরকার। আর পরিবার সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় আশ্রয়। তারে জমিন পার এক অটিজমে আক্রান্ত শিশুর ওপর বেইজড। আমির খানের পরিচালনায় এই ছবিটি তোমাদের ও তোমাদের বাবা-মা উভয়ের জন্যই মাস্ট ওয়াচ কিন্তু।
আই এম কালাম : মানুষ তার স্বপ্নের চাইতেও বড়। সেখানে এপিজে আবদুল কালাম হতে চাওয়াটা কখনোই ভুল কিছু না। কালাম নামে এক ছেলের ভারতের রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম হতে চাওয়ার গল্পই হলো এটা। এবং স্বপ্নের পথে কারা কালামের আশ্রয় ও ছায়া ছিলো, সে সব নিয়ে কাহিনী এগিয়েছে। মিস করা যাবে না কিন্তু।
থ্রি ইডিয়টস : জানি, এটা বাচ্চাদের নয়। আবার বাচ্চাদেরও। মিলিমিটার সেন্টিমিটার হয়ে যায়, শুধু একটু হেল্প ও গাইডেন্সের মাধ্যমে। বাচ্চা জন্ম নেয়ার আগেই আমরা তার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে বসি। অথচ তাদের নিজ গতিতে চলতে দেয়া উচিত। যেমনটা আমির করেছে ছবির শেষের দিকে গিয়ে। বাচ্চাদের জন্য ‘ অন্যরকম ‘ এক পাঠশালা খুলে।
দেখেছো? আচ্ছা, তাহলে আবার দেখো। আব্বু-আম্মুকে সাথে নিয়ে দেখো পারলে।
স্পেশাল মেনশন : স্ট্যানলি কা ডাব্বা, আমার বন্ধু রাশেদ, দীপু নাম্বার টু এরকম আরো বেশ কিছু মুভি তোমাদের অবশ্যই দেখা উচিত। এই ছবিগুলো একেবারে পরিবারকে সাথে নিয়ে দেখার মত কিন্তু। দেখতে ভুলো না কিন্তু, দেরী হলে লেট হয়ে যাবে আবার।
লেখাটি নিয়ে মতামত