এডিসন কি করেছিলো জানো নিশ্চয়ই তোমরা? বাতি আবিষ্কার করেছিলো। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানো না, ছেলেবেলায় মুরগীর ডিমে তা দেয়া থেকে শুরু করে ট্রেনে জিনিস ফেরী করে বেড়ানো, কী করেন নি তিনি। বা ধরো আমাদের নজরুল! লেটোর দলে গান করা, রুটির দোকানে কাজ করা বা দলবল নিয়ে পাড়া মাথায় করে রাখা। কী নেই নজরুলের ছেলেবেলায়। বাদলা দিনে জানালার ধারে বসে রবি ঠাকুরের ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে ‘ গল্পের কথাও বা বাদ যায় কি করে?
আমাদের বিখ্যাত মানুষগুলোর ছেলেবেলাগুলো এমনই অনিন্দ্য সুন্দর। মুলো যেটা বাড়ে, তা নাকি উঠতেই বুঝা যায়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গল্পটা তো তোমরা জানোই! রুমী বা আজাদের সেই ড্যাশিং ছেলেবেলার কথাই বা বাদ রাখি কিভাবে? আর মুক্তিযুদ্ধ যখন আসলোই তখন বঙ্গবন্ধুর কথাই বা বাদ যায় কিভাবে?
হুইসেল বিখ্যাতদের ছেলেবেলাকে এভাবেই তুলে আনার একটা প্রয়াস নিয়েছে। হুইসেল সেই আপ্তবাক্যে বিশ্বাস রাখে, ‘ ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা, সব শিশুরই অন্তরে ‘। একটু খেয়াল করলেই তোমরা দেখবে, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা যে থাকছে না এটাই নিশ্চিত। আর বদলে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থার গোড়াপত্তন একটু অন্য ধাঁচে করার মানস তোমাদের এই হুইসেলের।
বিখ্যাতদের ছেলেবেলার পাঠও হতে পারে সেই বদলে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থার একটা নিয়ামক। উপরে যে নামগুলো বললাম শুধু তাঁরাই নন, ব্যবসায়ী মহল, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, কবি-সাহিত্যিক বা বিপ্লবী ; এদের জীবনী পাঠ হতে পারে শিক্ষার এক অনন্য অনুষঙ্গ। আর তোমাদের মানসপটে যদি তাঁদের ছেলেবেলার ছবি এঁকে দেয়া যায় তবে ব্যাপারটা কেমন হবে বলো তো!
সৃজনশীলতা দুইভাবে দেখা যায় ; এক হলো সহজাত, আরেকটা হলো চর্চার মাধ্যমে। সহজাত সৃজনশীলতা খুব কম মানুষের মধ্যে দেখা যায়। তবে চর্চার সৃজনশীলতার উদাহরণ অহরহ। ধরো, শচীন টেন্ডুলকার। ছোটবেলা থেকেই তাঁর ইচ্ছে ছিলো টেনিস প্লেয়ার হওয়ার। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে তিনি হলেন ক্রিকেটের সবচেয়ে সৃজনশীল তারকাদের একজন। কিভাবে? তাঁর সহজাত প্রতিভা কিন্তু টেনিসেই ছিলো, খেলতেনও ভালোই। কিন্তু চর্চার সৃজনশীলতা তাঁকে ঐ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। হয়তো, টেনিসে তিনি খুব ভালোই করতেন, হতেন জোকোভিচ – ফেদেরারের মতোন বিখ্যাত কেউ। কিন্তু ঐ যে সৃজনশীলতা টুকু! সে টেনিস হোক বা ক্রিকেট ; তোমাদের ঐটা লাগবেই।
আর সৃজনশীলতার পাঠ বিখ্যাত মানুষজনের ছেলেবেলা থেকে নেওয়ার মত সৃজনশীল কাজ আর কী হতে পারে বলো। খুব বেশী কিছু নয়, তুমি তোমার জগতের বিখ্যাত মানুষজনের ছেলেবেলা সম্বন্ধে জানতে পারবে, হুইসেলের মাধ্যমেই। হয়তো তোমার পেইন্টিং ভালো লাগে ; তো আমাদের জয়নুল আবেদীন বা পটুয়া কামরুল অথবা এস.এম সুলতান আছেন কী করতে। পাঠ শুরু হোক আটঘাট বেঁধে একেবারে।
আচ্ছা, ক্রিকেট! অভিনয়? গল্প লেখা! কোনই সমস্যা নেই।
লেখাটি নিয়ে মতামত