শিশু মানেই কোমল মন,পুলক হৃদয়,মায়ায় ভরা সর্ব শরীর। সব বিষয়ই যেন আনাড়ি। তাদের চোখের আনন্দের ঢেউ বড়ই আদুরে। মুহুর্তের মধ্যেই ভালোবেসে হারিয়ে যাওয়া যায় সেই ঢেউয়ের তালে তালে।
শিশুদের গড়ে তোলার সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো তাদেরকে আনন্দ দেওয়া। তা শুরু হতে পারে দোলনার উপর ঝুলতে থাকা রঙিন একটি ফুল কিংবা খুউব পছন্দের একটি সাইকেল থেকে। তাদের আনন্দ দিতে খুব বেশি মূল্য দিতে হয় না বরং আপনার কিছু সময়, আপনার মনোযোগ অর্থাৎ সর্বোপরি তাদের সাথে কোম্পানি দিলেই তারা খুশি । আপনি একজন ভালো শ্রোতা হয়ে তাদের থেকে উপহার পেতে পারেন পাহাড় সমান আনন্দ। আসলে আপনি যদি একটু ভালো সময় কাটাতে চান তাহলে দুনিয়াদারী রেখে মিশে যেতে পারেন শিশুদের সাথে।
একটি শিশুকে বোঝানোর জন্য নিজেকে মানব এবং শিশু উভয়ই হতে হবে। তাদের হাসিতে হাসি মিলিয়ে আনন্দকে বাড়িয়ে দিতে পারেন কয়েক হাজার গুনে। শিশুমনকে কাদামাটির মত সতর্ক ও আদর সোহাগ দিয়ে যত্ন করুন।
শিশুর সঠিক আনন্দ, বিনোদনই তার পরিপূর্ণ বিকাশে সহায়তা করে। আর এই আনন্দ, বিনোদন তাকে ঘরে-বাইরে, স্কুলে সব জায়গায় নিশ্চিত করতে হবে। শিশুরা তাৎক্ষনিকভাবে এবং প্রাকৃতিকভাবে সুখের সাথে একীভূত হয়। কারণ তাদের প্রকৃতি দ্বারা তারা আনন্দিত এবং সুখী হয়।
শিশুদের আনন্দ বিনোদন নিশ্চিত করতে তাদের যুক্ত করাতে পারেন বিভিন্ন সামাজিক কাজে। কারন সহযোগিতামূলক কাজের মাধ্যমে শিশুমনের মানবিক ও সামাজিক দিক বিকশিত হয়। নতুন মানুষদের সাথে পরিচিত হওয়ার আনন্দের শামিল হয় তারা।
পছন্দের জিনিসের প্রতি মানুষের ঝোক বরাবরই। শিশুরাও তার ব্যতিক্রম না। তাই একটি বাচ্চা যে জিনিসগুলো ব্যবহার করে সম্ভব হল সেগুলো তার পছন্দ অনুযায়ী কিনে দেওয়া যায়। হতে পারে বিছানার চাদর, পড়ার টেবিল, লেখার কলম ইত্যাদি। পোশাক এর জন্য তার পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে তাকে আনন্দে রাখা যায়। এতে লাভের লাভ যা হয় তাহলো শিশুটির অফুরন্ত আনন্দ।
শিশুদের আনন্দ দিতে আউটডোর কিংবা ইনডোর পিকনিকের করা। ঈদে বিভিন্ন মেলায় ঘুরতে নিয়ে তাদের খুশি ছড়িয়ে দিতে পারেন সর্বত্র। সুখ কেনা যায় না। তাই সুখের জন্ম দিন একটি শিশুকে জন্ম দিয়ে। তাকে আনন্দে রেখে।
লেখাটি নিয়ে মতামত