আঠারো বছর বয়স নামে একটা কবিতা লিখেছেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। আঠারো বয়সটা বাঁধা ভাঙার বয়স ; সব ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়ার বয়স।
তোমাদের অনেকেরই আঠারো হয় নি বয়স! তোমরা নিশ্চয়ই জানো মালালা আঠারো বছর হওয়ার আগেই কি কি সব করে ফেলেছিলো। হ্যাঁ, নোবেল তো পেয়েছেই সে। এর বাইরে আরো অনেক কাজ কিন্তু সে আঠারোর আগেই করে ফেলেছিলো। আসো, দেখে নিই তাঁর তেমন কিছু কাজ –
- ব্লগিং: মাত্র ১১ বছর বয়সেই সে ব্লগিং করা শুরু করেছিলো। তাও আবার বিবিসির জন্য। তালিবান আগ্রাসন নিয়ে সে লিখতো প্রায়ই।
- নারী শিক্ষা : মাত্র ১৫ বছর বয়সেই সে নারী শিক্ষা নিয়ে একটা মুভমেন্টের মত করেছিলো। বাস নিয়ে তেমনই একটা আন্দোলনে যাওয়ার পথে তার মাথায় শ্যুট করা হয়।
- আত্মজীবনী লিখা : তাঁর নিজের আত্নজীবনীও সে লিখে ফেলেছে এই বয়সটাতেই। সে বইয়ের আবার অডিও ভার্সনও বের হয়। তার জন্য সে আবার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডও পেয়ে যায়।
- মালালা ডে : তাঁর নামে এখন পুরো বিশ্বব্যাপী পালিত একটা দিনের নামও আছে। ‘ ওয়ার্ল্ড মালালা ডে ‘। পুরো বিশ্বে দিনটি উদযাপিত হয় জুলাই ১২ তারিখে।
- পাকিস্তান এডুকেশন বিল : তাঁর ঘটনার জের ধরেই পাকিস্তান সরকার ‘রাইট টু এডুকেশন ‘ নামে একটা বিল পাশ করায়। এই ঘটনা বা অর্জন কোন দিকেই নোবেলের চেয়ে কম না কিন্তু। কারণ পাকিস্তানের নারী শিক্ষার বেহাল দশা ঠিক করতেই সে আন্দোলন করছিলো।
- ৪০ এরও বেশী অ্যাওয়ার্ড : নোবেল তো আছেই, তবে এর বাইরেও মালালা ১৮ হওয়ার আগেই চল্লিশের বেশী পুরস্কার ও সম্মাননা পায়। এটাও মাইলফলক।
- শান্তির দূত : জাতিসংঘের একজন শান্তির দূত হিসেবেও মালালা কাজ করছেন। তাও আঠারো হওয়ার সময় থেকেই।
এই ঘটনাগুলো তোমাদের অনুপ্রেরণা হতে পারে। মালালা আঠারোতেই কত কি করে বসে আছে। আমরা সেখানে শুধু গেমস নিয়ে পড়ে থাকলে কি চলে বলো?
বলো, তোমার বাঁধা কোথায় বা তুমি কী করতে চাও। কাউকে বলতে না পারলে বা কেউ না শুনলে হুইসেল শুনবে তোমার কথা।
লেখাটি নিয়ে মতামত