“জয়, প্রতিদিন একটা করে ডিম খেতে হবে তো, এতে বুদ্ধি বাড়বে, জয় এটা খাও, জয় এটা করো, ওটা শিখো, বুদ্ধি বাড়াতে যা লাগে সব করো”। মানুষকে বলা হয় সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী। তবে আবার বুদ্ধি বাড়াতে হবে কেন? আসলে বুদ্ধি মানে কি? আর এটা বাড়াতে আমাদের করণীয়ই বা কি?
বুদ্ধি হলো একটি মানসিক ক্ষমতা যা প্রাণীভেদে, মানুষভেদে ভিন্ন হয়। বুদ্ধির বহিঃপ্রকাশ ঘটে মানুষের আচরণের মাধ্যমে। একজন মানুষের সার্বিক আচরণের ভিত্তিতেই তার বুদ্ধিমত্তার প্রকাশ ঘটে থাকে। বুদ্ধির ভিন্নতার কারণেই বর্তমান যুগ হয়ে উঠেছে প্রতিযোগিতাময়। তাই বুদ্ধিকে শাণিয়ে তুলতে হলে শুধু জয়ের মতো ডিম খেয়ে আর এটা ওটা করলেই হবে না। আগাতে হবে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে।
বুদ্ধি বাড়ানোর ১০ উপায় :
বুদ্ধি বাড়াতে হলে নিয়মিত বুদ্ধির চর্চা হয় এমন কাজগুলোর সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে হবে। কারণ মস্তিষ্কের নিয়মিত ব্যবহারেই হতে পারে বুদ্ধির বৃদ্ধি। গবেষণায় দেখা যায়, মানুষ তার মস্তিষ্কের ১০% এর বেশি ব্যবহার করে না। বুদ্ধি বৃদ্ধির ১০ টি উপায় জেনে নেওয়া যাকঃ
- প্রাত্যহিক জীবনের রুটিন মেইনটেইন করে চলতে হবে।
- কম্পিউটার/ফোনে বিভিন্ন বুদ্ধিভিত্তিক গেইম রয়েছে সেগুলো খেলতে হবে। যেমনঃসুডোকু, পাজল সলভিং ইত্যাদি। এছাড়া রুবিকস কিউব, দাবা ইত্যাদি খেললেও মস্তিষ্কের যথাযথ ব্যবহার হয়ে থাকে।
- নিয়মিত ব্যয়াম করতে হবে। এটা বাস্তব কথা যে শরীরচর্চা করলে দেহের পেশির সাথে সাথে মস্তিষ্কের আকারও বৃদ্ধি পায়। ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের সিন্যাপসের সংখ্যা বাড়ে। এর ফলে মগজে নতুন নতুন কোষ তৈরি হয়।
- বেশি করে বই পড়তে হবে, বেশি করে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এতে মস্তিষ্ক সচল থাকবে। এতে বুদ্ধির পরিচর্যা হবে।
- নিজের চিন্তা-ভাবনা, নতুন ধারণা মাথায় এলেই তা লিখে ফেলতে হবে।
- সঠিক ভাবে খাবার গ্রহন করতে হবে।
আমাদের গ্রহনকৃত খাদ্যের ২০% কার্বোহাইড্রেট ও শক্তি মস্তিষ্কে যায়। মস্তিষ্কের কাজের পুরোটাই নির্ভর করে গ্লুকোজের মাত্রার ওপর। এছাড়াও সঠিক সময়ে, সঠিক খাদ্য মস্তিষ্কের উন্নতিতে সাহায্য করে। - প্রাত্যহিক জীবনের রুটিনের বাইরেও নতুন নতুন কিছুর সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে। এতে মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। যেমনঃ বাগান করা, ক্রাফটিং, সাইকেল চালানো, ছবি আঁকা ইত্যাদি নতুন কিছুর সাথে যুক্ত হলে মস্তিষ্কের সচলতা বৃদ্ধি পায়।
- বেশি বেশি ধাঁধার সমাধান করতে হবে। নিজের চিন্তাশক্তি বাড়াতে হবে। চিন্তাশক্তি বাড়াতে সিনেমা দেখা/ বই পড়ার পর সেগুলো নিয়ে চিন্তা করতে হবে, কল্পনা করতে হবে।
- সুর/হালকা মিউজিক মস্তিষ্ককে শান্তি দেয়, মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে তোলে।
- মস্তিষ্কের সঠিক পরিচর্যাই পারে বুদ্ধিকে শাণিত করতে। একঘেয়েমি কাজ থেকেও মস্তিষ্ককে বিরতি দিতে হবে। একই কাজ প্রয়োজনে ভিন্ন ভাবে বা ভিন্ন রুটিনে করতে হবে।
বুদ্ধি বাড়াতে কিন্তু পড়তে পারো ম্যাগাজিনও। এই এতগুলো তথ্য কিন্তু জানতে পারলে এই ম্যাগাজিন থেকেই।
তাহলে জানতে থাকো, পড়তে থাকো আর বুদ্ধির পরিচর্যা করতে থাকো।
লেখাটি নিয়ে মতামত