হুইসেল কিডস প্ল্যানার বুকশপ ই-লার্নিং কিডসশপ
হুইসেল
No Result
View All Result
  • গল্প
  • কবিতা
  • কমিকস
  • সাক্ষাৎকার
  • খেলা
  • ফিচার
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • চিঠিপত্র
  • আরও
  • গল্প
  • কবিতা
  • কমিকস
  • সাক্ষাৎকার
  • খেলা
  • ফিচার
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • চিঠিপত্র
  • আরও
No Result
View All Result
হুইসেল

বাংলার বাঘ

ইল্লিন ফ্লোরা লিখেছেন ইল্লিন ফ্লোরা
জুন 15, 2021
বিভাগ ফিচার
AK_Fazlul_Huq-whistle
23
পড়েছেন

ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। ইতিহাস আজীবন কথা বলে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনায় ইতিহাসে স্থান পায়।আর এই ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকে কিছু মানুষ যারা ইতিহাসের পাতায় অমর।

আর এমনই একজন অবিস্মরণীয় মানুষ অবিভক্ত বাংলার জাতীয় নেতা আবুল কাশেম ফজলুল হক যিনি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক নামেই পরিচিত। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতার জন্য তিনি ছিলেন সুপরিচিতি। তিনি ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রথম মুসলিম মেয়র। তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর। সর্বভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি। তিনি আপোষহীন ন্যায়নীতি, অসামান্য বাকপটুতা আর সাহসিকতার কারণে রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত ছিলেন শেরে বাংলা (বাংলার বাঘ) নামে। সর্বভারতীয় রাজনীতির পাশাপাশি গ্রাম বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বাংলার পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের জন্য তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।

জাতীয় নেতা বাংলার বাঘ খ্যাত আবুল কাশেম ফজলুল হক ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর তৎকালীন বাকেরগঞ্জ মহকুমার বর্তমানে ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামে তার নানার ভিটা সাতুরিয়ার মিয়া বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।

শের-এ-বাংলার প্রাথমিক পড়াশোনা বাড়িতেই। গৃহশিক্ষকদের কাছে আরবি, ফার্সি, বাংলায় শিক্ষালাভ করেন। ১৮৮১ সালে বরিশাল জিলা স্কুলে ভর্তি হন। ১৮৮৯ সালে বরিশাল জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা (এন্ট্রান্স) পরীক্ষায় ঢাকা বিভাগে মুসলমানদের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেন। ১৮৯১ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফএ পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন এবং স্কলারশীপ লাভ করেন। ১৮৯৩ সালে তিনটি বিষয়ে অনার্সসহ প্রথম শ্রেণীতে বিএ পাস করেন। ১৮৯৫ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় এম.এ ভর্তি হয়ে ১৮৯৬ সালে ইংরেজী ও অংক বিষয়ে এমএ পাশ করেন। ১৮৯৭ সালে ডিষ্টিংশনসহ বি.এল পাস করে মনীষী স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের অধীনে কলকাতা হাইকোর্টে যোগদান করেন। একই বছর একাডেমিক শিক্ষার সমাপ্তি টেনে তিনি কর্মজীবনে পদার্পণ করেন। শিক্ষনবীশ আইনজীবী হিসাবে কিছুকাল অতিবাহিত করে ১৯০০ সালে তিনি এককভাবে কাজ শুরু করে একবছরের মধ্যে অর্থাৎ ১৯০১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী তার পিতা বিশিষ্ট আইনজীবী মৌলভী কাজী ওয়াজেদ আলী মারা যান। পিতৃবিয়োগের পরে তিনি কলকাতা ছেড়ে ফিরে এলেন তার নিবাস বরিশালে। এখানে এসে তিনি নতুন ভাবে আইন ব্যবসায় আত্মনিয়োগ করেন।

তিনি ১৮৯৬ সালে নবাব আবদুল লতিফ সিআইই’র পৌত্রী খুরশিদ তালাত বেগকে বিয়ে করেন। সেখানে তার দুই কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করলে তার স্ত্রীর অকাল মুত্যু হয়। খুরশিদের মৃত্যুর পর হুগলি জেলার অধিবাসি ও কলকাতায় বসবাসকারী জনাব ইবনে আহমদের মেয়ে জনাবা জিন্নাতুন্নেসা বেগমকে বিয়ে করেন। নিঃসন্তান জিন্নাতুন্নেসা মারা গেলে অবশেষে ১৯৪২ সালে ভারতের মিরাটের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের বিদুষী মেয়ে খাদিজা খাতুনকে বিয়ে করেন। ১৯৪৪ সালে খাদিজার গর্ভে একমাত্র পুত্র সন্তান এ.কে ফাইজুল হকের জন্ম হয়।

১৯১৩ সালে শের-এ-বাংলা বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯১৪ সালে তিনি নিখিল ভারত কংগ্রেস দলে যোগ দেন। খেলাফত আন্দোলনেও তিনি অংশ নেন। জমিদার মহাজনদের অত্যাচার-নির্যাতন থেকে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ দরিদ্র কৃষকদের বাঁচানোর জন্য প্রতিষ্ঠা করেন তার বিখ্যাত ঋণ সালিশি বোর্ড।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি।১৯৩৭ সনে ১৫ অক্টোবর লখনৌ শহরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মহাকালের এই মহান নেতা এ অনুষ্ঠানে বাংলার প্রধানমন্ত্রী এ.কে ফজলুল হক উর্দু ভাষায় জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে লখনৌবাসীর হৃদয় জয় করেন। তারা ফজলুল হকের অনলবর্ষী ও বীরত্বব্যঞ্জক বক্তৃতায় আকৃষ্ট হয়ে স্বত:স্ফূর্তভাবে তাকে শেরে-এ-বাংলা উপাধি দেন।

১৮৯৩ সালে তিনি তিনটি বিষয়ে অনার্সসহ প্রথম শ্রেণীতে বি.এ. পাশ করেন। বি.এ. পাশ করার পর এম.এ. ক্লাসে প্রথমে ভর্তি হয়েছিলেন ইংরেজি ভাষায়। পরীক্ষার মাত্র ছয় মাস আগে তাকে এক বন্ধু ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন যে, মুসলমান ছাত্ররা অঙ্ক নিয়ে পড়ে না, কারণ তারা মেধাবী নয়। এই কথা শুনে এ. কে. ফজলুক হকের জিদ চড়ে যায়। তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যে, অঙ্কশাস্ত্রেই পরীক্ষা দেবেন। এরপর, মাত্র ছয় মাস অঙ্ক পড়েই তিনি প্রথম শ্রেণী লাভ করেন

১৯১৩ সালে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে এ. কে. ফজলুক হক বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯১৫ সালে পুনরায় ঢাকা বিভাগ থেকে বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯১৩ থেকে ১৯১৬ সাল পর্যন্ত তিনি এ পরিষদের সভায় মোট ১৪৮ বার বক্তৃতা করেন। ১৪৮ বার বক্তৃতার ভেতর ১২৮ বার তিনি দাড়িয়ে ছিলেন মুসলমানদের শিক্ষা সম্পর্কে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য। তার অদম্য চেষ্টার ফলে ১৯১৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কারমাইকেল ও টেইলার হোস্টেল স্থাপন করা হয়েছিল।

১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০ টা ২০ মিনিটে এ. কে. ফজলুক হক ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন। ২৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত তার মরদেহ ঢাকার টিকাটুলি এলাকায় তার ২৭ কে. এম. দাস লেনের বাসায় রাখা হয়। সেদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ঢাকার পল্টন ময়দানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাকে সমাহিত করা হয়। একই স্থানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও খাজা নাজিমউদ্দীনের কবর রয়েছে। তাদের তিনজনের সমাধিস্থলই ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজার নামে পরিচিত।

রেডিও পাকিস্তান সেদিন সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে সারাদিন কোরআন পাঠ করে। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে তার প্রতি সম্মান দেখানো হয়। ৩০ এপ্রিল সোমবার পাকিস্তানের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্কুল কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়।

 

বিষয়: প্রথম মুসলিম মেয়রবাংলার বাঘশেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক
আগের লেখা

কার্তিকও ফিনিশার

পরের লেখা

আমাদের বীরশ্রেষ্ঠদের কথা

পরের লেখা
আমাদের বীরশ্রেষ্ঠদের কথা

আমাদের বীরশ্রেষ্ঠদের কথা

marshal-art-whistlemag

মার্শাল-আর্ট

লেখাটি নিয়ে মতামত

Whistle's qrcode
  • ফিচার
  • সিনেমা
  • জীবনযাপন
  • সাক্ষাৎকার
  • ভিডিও
  • রিভিউ

আর.এইচ ম্যানশন, বাসা নং: ২০, রোড: ০৩, ব্লক: সি, বনশ্রী, ঢাকা – ১২১৯
ফোন : ০১৬৭৬৪৬৪০১১

প্রকাশক : আরেফীন দীপু
ই-মেইল: magazine.whistle@gmail.com

© ২০২১ হুইসেল ম্যাগাজিন, সকল কনটেন্টের স্বত্ত সংরক্ষিত. কারিগরী সহযোগি: নেক্সক্রাফট লিমিটেড

No Result
View All Result
  • গল্প
  • কবিতা
  • কমিকস
  • সাক্ষাৎকার
  • খেলা
  • ফিচার
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • চিঠিপত্র
  • আরও

© ২০২১ হুইসেল ম্যাগাজিন, সকল কনটেন্টের স্বত্ত সংরক্ষিত. কারিগরী সহযোগি: নেক্সক্রাফট লিমিটেড

  • হুইসেল
  • প্ল্যানার
  • বুকশপ
  • ম্যাগাজিন
  • ই-লার্নিং
  • স্টেশনারি