জলবায়ু পরিবর্তন,এ শতকের সবচেয়ে বড় হুমকি। বিল গেটস যেমন করোনা নিয়ে আবছা একটা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ; তেমনি জলবায়ুর কারণে আরো বড় বিপর্যয়ের কথাও স্বীকার করেছেন। তোমরা কি জানো, তোমাদের মতোই কিছু বন্ধু কিন্তু জলবায়ু নিয়ে কাজ করছে ধুমিয়ে।
আজ এমন তিনজনের কথাই তোমাদের জানাবো। গ্রেটা থুনবার্গ, রিদিমা পান্ডে, ইসরা হিরসি। আসো, এক ঝলক দেখে নিই।
গ্রেটা থুনবার্গ
এর নাম নিশ্চয়ই জানো! না জানলে এখন তো জানলে। সুইডেনের এই ১৭ বছরের পুঁচকে রীতিমতো কাপিয়ে দিচ্ছে দুনিয়া। স্কুল ছুটি নিয়ে সে ক্যাম্পেইন করে বেড়াচ্ছে পুরো দুনিয়ায়। কমিউনিটি তৈরী থেকে শুরু করে আন্দোলন, কী নেই তার ঝুলিতে। এই বয়সেই সে জাতিসংঘে রীতিমতো বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছে। যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী দেশগুলো তাকে খুব একটা পছন্দ করছে না। তবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো তাকে বেশ ভালোই সাপোর্ট দিচ্ছে। সেও নতুন নতুন কমিউনিটি তৈরী করে চলেছেন। মালালার মতো কোন এক সকালে নোবেল পেয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ক্লাইমেট অ্যাকশন জগতে সে ইতিমধ্যেই একটা ব্র্যান্ড কিন্তু।
রিদিমা পান্ডে
এই বান্দা আরেক কাঠি সরেস। ভারতের উত্তরাখন্ডে ২০১৩ সালের বন্যা তাকে ভাবিয়ে তুলে। মাত্র ৯ বছর বয়স তখন তার। এদ্দিনে তা ১৬ পেরোলো কেবল। ঐ বয়সেই সে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বসে । ক্ষয়ক্ষতির বিপরীতে দাবী করে বসে। জলবায়ু নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা দাবীও করে সে। School Strikes নামে সংগঠন আছে এখন পুরো ভারতজুড়ে। সেও রীতিমতো সেলিব্রিটি স্পীকার এখন। দেশ-বিদেশে সে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে সে।
ইরসা হিরসি
একই সাথে দুইটা কাজ করছে সে। এক হলো, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুই নাম্বার হলো, এর সাথে কৃষ্ণাঙ্গরা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নিয়ে সচেতনতা তৈরী। দারুণ না! একই সাথে দুইটা নোবেল কজ। সেও রীতিমতো পরিবেশ জগতের সেনসেশন এখন। পুরো ব্ল্যাক কমিউনিটির সেলিব্রিটি সে।
তোমরা নিশ্চয়ই জানো, বাংলাদেশ জলবায়ুগত পরিবর্তনের কারণে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত। উন্নত বিশ্ব এই দায় এড়াতে পারে না। কারণ, তারা কার্বন নিঃসরণ করে বেশী। আমরাও পারি, এসব নিয়ে নিজেদের জায়গা থেকে কাজ করতে। মনে রাখবা, ঢিল যদি ছুড়ি, তাহলে ঢেউ কিন্তু উঠবেই।
লেখাটি নিয়ে মতামত