হে নামাজী, আমার ঘরে নামাজ পড়ো আজ
চরণতলে দিলাম তোমায় হৃদয় জায়নামাজ।
আব্বাসউদ্দীন একটা গজল লেখার আর্জি নিয়ে নজরুলের কাছে এসেছিলেন। নামাজ পড়ার সময় হলে নজরুল জায়নামাজ এগিয়ে দেন আব্বাসউদ্দীনকে। আর নামাজ পড়ার মাঝের সময়টাতে এই গজলটি লেখা শেষ। নজরুল এমনই ছিলেন। কাঠবিড়ালি, কাঠবিড়ালি পেয়ারা তুমি খাও বা বাবুদের তালপুকুরে, এসব কবিতা নজরুল এক বসাতে লিখতেন।
জানো বন্ধুরা ছোট্ট নজরুল কেমন ছিলো? মেধাবী ছিলো, ডানপিটে ছিলো, করিৎকর্মা ছিলো, এসব তো তোমরা জানোই। সবচেয়ে বেশী যেটা ছিলো সেটা হলো তাঁর চঞ্চলতা। পুরো পাড়া মাথায় করে না রাখলে উনার চলতো না। বারো রকমের মানুষের সাথে তেরো রকমের কান্ড না ঘটিয়ে মুখে যেন ভাত রুচতো না তার।
একবার কি হলো জানো, পাড়ার ছেলেরা মিলে গেলো তরমুজ চুরি করতে। নজরুল ছিলেন পাহারায় যদি মালিক চলে আসে। আর যাদের চুরি করতে পাঠানো হলো তাদের একজন জিজ্ঞেস করেছিলো তরমুজ পেকেছে কিনা কেমনে বুঝবো? নজরুল জবাব দিয়েছিলেন, তরমুজের তলা হাতের তালুয় রেখে উপরে বডুর অংশে টোকা দিতে, তরমুজ যদি পেকে থাকে তাহলে হাতের তালুয় সেই টোকার আওয়াজ মালুম হবে আর না পাকলে হবে না।
এই ছিলো নজরুলের ছেলেবেলা আর তাঁর ছেলেমাথার সূক্ষ্ম বুদ্ধি। আবদুল ওয়াহেদের রুটির দোকানে মাসিক একটাকা বেতনে শুরু করেছিলেন কাজ। হ্যাঁ, খেয়েদেয়ে এক টাকাই বেতন পেতেন তিনি। আজ থেকে ১০৭ বছর আগের কথা তাও।
লেখাটি নিয়ে মতামত