ছোটবেলায় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মর্মান্তিক ঘটনা আমরা কম বেশি সবাই শুনেছি, বইয়ে পড়েছি। জেনেছি ৯ মাসের আত্মত্যাগী মানুষগুলোর কথা। তাদের আত্মত্যাগ, তাজা রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিক। মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি হিসেবে সাতজন বীরকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মরণোত্তর ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধি দেয়া হয়৷
সাত বীরশ্রেষ্ঠই সামরিক বা আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য। আমার সামান্য জানাটুকুই লেখার মাধ্যমে সেই সাত বীরশ্রেষ্ঠদের পরিচয় তুলে ধরার চেষ্টা করব। প্রথমেই জেনে নিই সাতজন বীরশ্রেষ্ঠদের নাম।
- ১. মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
- ২. নূর মোহাম্মদ শেখ
- ৩. মোস্তফা কামাল
- ৪. মোহাম্মদ রুহুল আমিন
- ৫. মতিউর রহমান
- ৬. মুন্সি আব্দুর রউফ
- ৭. হামিদুর রহমান
এই সাতজন বীর ব্যাক্তি বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত হন। তাঁদের প্রতি অজস্র সম্মান এবং শ্রদ্ধা। এবার সবার সংক্ষিপ্ত পরিচয় জেনে নেই।
বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরঃ
বাবা আব্দুল মোতালেব হাওলাদার, মা সাফিয়া বেগম – এর কোল আলো করে ১৯৪৯ সালের ৭মার্চ বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। ছেলেবেলা কাটিয়ে দেয় জন্মস্থান বরিশালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন তিনি৷
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার মেহেদিপুরে মুক্তিবাহিনীর ৭নং সেক্টরে সাব সেক্টর কমান্ডার হিসাবে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর আনুমানিক ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের পশ্চিমে বারঘরিয়ায় অবস্থান নেন৷ ১৪ ডিসেম্বর ভোরে মাত্র ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে বারঘরিয়া এলাকা থেকে ৩/৪ টি দেশি নৌকায় করে রেহাইচর এলাকা থেকে মহানন্দা নদী অতিক্রম করেন।
নদী অতিক্রম করার পর উত্তর দিক থেকে একটি একটি করে প্রত্যেকটি শত্রু অবস্থানের দখল নিয়ে দক্ষিণে এগোতে থাকেন। তিনি এমনভাবে আক্রমণ পরিকল্পনা করেছিলেন যেন উত্তর দিক থেকে শত্রু নিপাত করার সময় দক্ষিণ দিক থেকে শত্রু কোনকিছু আঁচ করতে না পারে। এভাবে এগোতে থাকার সময় জয় যখন প্রায় সুনিশ্চিত তখন ঘটে বিপর্যয়। হঠাৎ বাঁধের উপর থেকে ইস্ট পাকিস্তান সিভিল আর্মড ফোর্সের ৮/১০ জন সৈনিক দৌড়ে চর এলাকায় এসে যোগ দেয়।
এরপরই শুরু হয় পাকিস্তানি বাহিনীর অবিরাম ধারায় গুলিবর্ষন। ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর জীবনের পরোয়া না করে সামনে এগিয়ে যান। যখন আর একটি মাত্র শত্রু অবস্থান বাকি রইল এমন সময় মুখোমুখি সংঘর্ষে বাংকার চার্জে শত্রুর বুলেটে এসে বিদ্ধ হয় জাহাঙ্গীরের কপালে। শহীদ হন তিনি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ চত্বরে এই বীর সেনাকে সমাহিত করা হয়৷
বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখঃ
১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারিতে, নড়াইল জেলার মহিষখোলা গ্রামে বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ, মা জেন্নাতুন্নেসার ঘরে জন্ম নেয় নূর মোহাম্মদ শেখ। ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারানোর পর বেশি পড়াশোনা করেননি তিনি। ১৯৫৯ সালে যোগ দেন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর)-এ৷ ১৯৭০ সালে ল্যান্স নায়েক পদে উন্নীত হয়ে আসেন যশোর সেক্টর সদর দপ্তরে৷
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসেন নূর মোহাম্মদ৷ জাতির সে ক্রান্তিলগ্নে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি তিনি৷ যোগ দেন মুক্তিবাহিনীতে৷ ১৯৭১-এর ৫ সেপ্টেম্বর নূর মোহাম্মদকে অধিনায়ক করে একটি স্ট্যান্ডিং পেট্রোল পাঠানো হয় যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে৷ টের পেয়ে পাক সেনারা চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাঁদের৷ শুরু হয় গুলিবর্ষণ৷ সহযোদ্ধাদের বাঁচাতে জীবনবাজি রেখে আক্রমনের মোকাবেলা করতে থাকেন নূর মোহাম্মদ শেখ৷ এক পর্যায়ে কামানের গোলার আঘাতে লুটিয়ে পড়েন সেখানেই৷ পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করেন সহযোদ্ধারা৷যশোরের কাশিপুর গ্রামে সমাহিত আছেন এই বীর যোদ্ধা৷
বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামালঃ
ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার পশ্চিম হাজীপুর গ্রামে ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বরে বাবা হাবিবুর রহমান, মা মালেকা বেগম এর পরিবারে আসে মোস্তফা কামাল। ২০ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে পালান৷ ফিরে আসেন ১৯৬৮ সালে, পাকিস্তানের চতুর্থ ইস্ট-বেঙ্গল রেজিমেন্টে সৈনিকের চাকরি পেয়ে৷
১৯৭১ সালে মেজর খালেদ মোশারফের অধীনে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে৷ ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন৷ প্রথম দিন পিছু হঠলেও পরের দিন শত্রুরা চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে তাঁদের৷ গুলি শেষ না হওয়া পর্যন্ত একাই লড়াই চালিয়ে বাঁচিয়ে দেন সহযোদ্ধাদের৷ এক পর্যায়ে মারাত্মক জখম অবস্থায় ধরা পড়েন পাকিস্তানিদের হাতে৷ নৃশংসভাবে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মারা হয় তাঁকে৷ পাকবাহিনী চলে যাওয়ার পর গ্রামবাসীরা মোস্তফা কামালকে সমাহিত করেন সেখানেই৷
বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিনঃ
বাবা মোহাম্মদ আজহার ও মা জুলেখা বেগম এর সন্তান মোহাম্মদ রুহুল আমিন নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার বাঘপাঁচরা গ্রামে ১৯৩৫ সালের জুন মাসে জন্মগ্রহণ করেন।
হাইস্কুল পাশ করে ১৯৫৩ সালে তিনি যোগ দেন পাকিস্তান নৌবাহিনীতে৷ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ১৯৭১ সালের এপ্রিলে ত্রিপুরা সীমান্ত অতিক্রম করে ২নং সেক্টরে যোগ দেন রুহুল আমিন, অংশ নেন সম্মুখ সমরে৷ সেপ্টেম্বর মাসে ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী’ গঠনের লক্ষ্যে সকল সেক্টর থেকে প্রাক্তন নৌ-সেনাদের আগরতলায় সংগঠিত করা হলে সেখানে যান রুহুল আমিন৷ পরে সেখান থেকে চলে আসেন কলকাতায়৷ ভারত সরকারের দেয়া গানবোট ‘পলাশ’এর ইঞ্জিন রুম আর্টিফিশার হিসেবে নিয়োগ পান তিনি৷
৬ ডিসেম্বর মংলা বন্দরে পাকিস্তানি নৌঘাঁটি পিএনএস তিতুমীর দখলের উদ্দেশ্যে মিত্রবাহিনীর সঙ্গে ভারতের হলদিয়া নৌঘাঁটি থেকে রওনা হন৷ পরদিন দুপুরে খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছাকাছি পৌঁছাতেই পাকিস্তানী জঙ্গি বিমান শুরু করে গোলা বর্ষণ৷ শত্রু পক্ষের আক্রমণে সেখানেই শহীদ তিনি৷ পরে রূপসা নদীর তীরে সমাহিত করা হয় তাঁকে৷
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানঃ
ঢাকার আগাসাদেক রোডের পৈতৃক বাড়ি ‘মোবারক লজ’-এ ১৯৪১ সালের ২৯ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন মতিউর রহমান৷ বাবা মৌলভী আবদুস সামাদ, মা সৈয়দা মোবারকুন্নেসা খাতুন৷ তাঁর পৈত্রিক বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার রামনগর গ্রামে৷ পশ্চিম পাকিস্তানের সারগোদার পাকিস্তান বিমানবাহিনী পাবলিক স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শেষে যোগ দেন পাকিস্তান বিমানবাহিনী অ্যাকাডেমিতে৷ ১৯৬৩ সালের জুন মাসে কমিশন পেয়ে চলে আসেন পশ্চিম পাকিস্তানের রিসালপুরে৷ পরের বছর পেশোয়ারে জেট পাইলট নিযুক্ত হন৷
১৯৭১ সালে কর্মরত ছিলে B জেট ফ্লায়িং ইন্সট্রাক্টর হিসেবে৷ ২৫ মার্চের কালরাতে ছুটি কাটাতে তিনি ছিলেন রায়পুরের রামনগর গ্রামে৷ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি স্থানীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করা শুরু করেন৷ মে মাসে পাকিস্তানে গিয়ে চাকরিতে যোগ দিলেও পরিকল্পনা করছিলেন মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করার৷ ঠিক করেছিলেন, একটি বিমান ছিনতাই করে যোগ দেবেন মুক্তিযুদ্ধে৷
২০ আগস্ট মতিউর রহমানের তত্ত্বাবধানে করাচির মশরুর বিমানঘাঁটি থেকে টি-৩৩ বিমান উড়তে শুরু করার পরেই বিমানটির নিয়ন্ত্রণ নিজ হাতে নেয়ার চেষ্টা করেন তিনি৷ কিন্তু ব্যর্থ হন৷ বিমানটি বিধ্বস্ত হয় ভারতীয় সীমান্তের কাছে৷ সেখান থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে সমাহিত করা হয় মশরুর বিমানঘাঁটির চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কবরস্থানে৷
২০০৬ সালের ২৪ জুন মতিউর রহমানের দেহাবশেষ পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়, পূর্ণ মর্যাদায় পুনরায় সমাহিত করা হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে৷
বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্সনায়েক মুন্সি আব্দুর রউফঃ
জন্ম ১৯৪৩ সালের ১ মে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজলোর সালামতপুরে গ্রামে৷ বাবা মুন্সি মেহেদি হাসান, মা মুকিদুন্নেসা৷ সংসারের হাল ধরতে অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে ১৯৬৩ সালে যোগ দেন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস ‘ইপিআর’ এ৷ স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতে চট্টগ্রামে ১১ নম্বর উইং-এ কর্মরত ছিলেন তিনি৷
মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি-মহালছড়ি জলপথের দায়িত্ব পান৷ বুড়িঘাট এলাকার চিংড়িখালের দুই পাড়ে অবস্থান নিয়ে গড়ে তোলেন প্রতিরক্ষা ঘাঁটি৷ ৮ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী এ প্রতিরক্ষা ঘাঁটি আক্রমণ করে৷ দীর্ঘ যুদ্ধের পর পাক হানাদারদের একটি মর্টারের গোলা তাঁর বাঙ্কারে পড়লে সেখানেই মারা যান তিনি৷
বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের সমাধি রয়েছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির নানিয়ার চরে৷
বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমানঃ
সর্বকনিষ্ঠ বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ হামিদুর রহমানের জন্ম ১৯৫৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন যশোর জেলার মহেশপুর উপজেলার খর্দ্দ খালিশপুর গ্রামে৷ বাবা আব্বাস আলী মণ্ডল এবং মা মোসাম্মাৎ কায়সুন্নেসা৷ খালিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং স্থানীয় নাইট স্কুলে সামান্য লেখাপড়া শেষ করে ১৯৭০ সালে তিনি যোগ দেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সিপাহি পদে৷
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে চট্টগ্রামের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টারে গ্রামে পালিয়ে আসেন৷ ৪নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন তিনি৷ ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে হামিদুর রহমান ১ম ইস্টবেঙ্গলের সি কোম্পানির হয়ে ধলই সীমান্তের ফাঁড়ি দখল করার অভিযানে অংশ নেন৷ অক্টোবরের ২৮ তারিখে ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পাকিস্তান বাহিনীর ৩০-এ ফ্রন্টিয়ার রেজিমেন্টের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে৷ তিনি পাহাড়ি খালের মধ্য দিয়ে বুকে হেঁটে গ্রেনেড নিয়ে পাকিস্তান বাহিনীর মেশিনগান পোস্টে আক্রমণ শুরু করেন৷ দুটি গ্রেনেড সফলভাবে মেশিনগান পোস্টে আঘাত হানে, কিন্তু তার পরপরই হামিদুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন৷ সে অবস্থাতেই তিনি মেশিনগান পোস্টে গিয়ে সেখানকার দুই জন পাকিস্তানি সৈন্যের সাথে হাতাহাতি যুদ্ধ শুরু করেন৷ এভাবে আক্রণের মাধ্যমে হামিদুর রহমান এক সময় মেশিনগান পোস্টকে অকার্যকর করে দিতে সক্ষমও হন৷ এই সুযোগে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে সীমানা ফাঁড়িটি দখল করেন৷ কিন্তু ততক্ষণে হামিদুর রহমান আর বেঁচে নেই৷
হামিদুর রহমানের মৃতদেহ সীমান্তের অল্প দূরে ভারতীয় ভূখণ্ডে ত্রিপুরা রাজ্যের হাতিমেরছড়া গ্রামের স্থানীয় এক পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়৷ ২০০৭ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনে৷ ১১ই ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানকে ঢাকার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়৷
চিরগৌরবের বীরত্বগাথা এই সাত বীর বাঙালির কৃতিত্ব সারাজীবন মনে রাখার মতো। তাঁদের সহ সেই সময়ের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগে আমরা পেলাম সোনার বাংলাদেশ।
লেখাটি নিয়ে মতামত